ইমাম মাহদী (আঃ) এর সাথে সংশিষ্ট দোয়াগুলোর মধ্যে দোয়া আহাদ অন্যতম। ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি একাধারে চল্লিশ দিন সকালে এ দোয়াটি পড়বে সে আল-কায়েম (আ.ফা.)- এর সাহায্যকারীদের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি সে তার (আবির্ভাবের) আগেই মৃত্যুবরণ করে তাহলে মহান আল্লাহ তাকে কবর থেকে উঠাবেন এবং এই দোয়ায় উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের জন্য এক হাজার সৎ আমল লেখা হবে ও এক হাজার খারাপ আমল মুছে ফেলা হবে। (দ্রঃ মরহুম শেখ আব্বাস কুমী (রহঃ) এর মাফাতিহুল জিনান, ৮৯২ পৃষ্ঠা, মিসবাহ আল-জায়ির, পৃঃ ২৩৫; বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড-১০২

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

اَللّٰهُمَّ رَبَّ النُّوْرِ الْعَظِيْمِ وَ رَبَّ الْكُرْسِيِّ الرَّفِيْعِ وَ رَبَّ الْبَحْرِ الْمَسْجُوْرِ وَ مُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَ الْاِنْجِيْلِ وَ الزَّبُوْرِ وَ رَبَّ الظِّلِّ وَ الْحَرُوْرِ وَ مُنْزِلَ الْقُرْاٰنِ الْعَظِيْمِ وَ رَبَّ الْمَلَاۤئِكَةِ الْمُقَرَّبِيْنَ وَ الْاَنْبِيَاۤءِ وَ الْمُرْسَلِيْنَ اَللّٰهُمَّ اِنِّيۤ اَسْاَلُكَ بِوَجْهِكَ الْكَرِيْمِ وَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الْمُنِيْرِ وَ مُلْكِكَ الْقَدِيْمِ يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ اَسْاَلُكَ بِاسْمِكَ الَّذِيۤ اَشْرَقَتْ بِهِ السَّمَاوَاتُ وَ الْاَرَضُوْنَ وَ بِاسْمِكَ الَّذِيْ يَصْلَحُ بِهِ الْاَوَّلُوْنَ وَ الْاٰخِرُوْنَ يَا حَيًّا قَبْلَ كُلِّ حَيٍّ وَ يَا حَيًّا بَعْدَ كُلِّ حَيٍّ وَ يَا حَيًّا حِيْنَ لَا حَيَّ يَا مُحْيِيَ الْمَوْتٰى وَ مُمِيْتَ الْاَحْيَاۤءِ يَا حَيُّ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ۔ اَللّٰهُمَّ بَلِّغْ مَوْلَانَا الْاِمَامَ الْهَادِيَ الْمَهْدِيَّ الْقَاۤئِمَ بِاَمْرِكَ صَلَوَاتُ اللّٰهِ عَلَيْهِ وَ عَلٰىۤ اٰبَاۤئِهِ الطَّاهِرِيْنَ عَنْ جَمِيْعِ الْمُؤْمِنِيْنَ وَ الْمُؤْمِنَاتِ فِيْ مَشَارِقِ الْاَرْضِ وَ مَغَارِبِهَا سَهْلِهَا وَ جَبَلِهَا وَ بَرِّهَا وَ بَحْرِهَا وَ عَنِّيْ وَ عَنْ وَالِدَيَّ مِنَ الصَّلَوَاتِ زِنَةَ عَرْشِ اللّٰهِ وَ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ وَ مَاۤ اَحْصَاهُ عِلْمُهُ وَ اَحَاطَ بِهِ كِتَابُهُ اَللّٰهُمَّ اِنِّيۤ اُجَدِّدُ لَهُ فِيْ صَبِيْحَةِ يَوْمِيْ هٰذَا وَ مَا عِشْتُ مِنْ اَيَّامِيْ عَهْدًا وَ عَقْدًا وَ بَيْعَةً لَهُ فِيْ عُنُقِيْ لَاۤ اَحُوْلُ عَنْهَا وَ لَا اَزُوْلُ اَبَدًا اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنْ اَنْصَارِهِ وَ اَعْوَانِهِ وَ الذَّآبِّيْنَ عَنْهُ وَ الْمُسَارِعِيْنَ اِلَيْهِ فِيْ قَضَاۤءِ حَوَاۤئِجِهِ وَ الْمُمْتَثِلِيْنَ لِاَوَامِرِهِ‏ وَ الْمُحَامِيْنَ عَنْهُ وَ السَّابِقِيْنَ اِلٰۤى اِرَادَتِهِ وَ الْمُسْتَشْهَدِيْنَ بَيْنَ يَدَيْهِ اَللّٰهُمَّ اِنْ حَالَ بَيْنِيْ وَ بَيْنَهُ الْمَوْتُ الَّذِيْ جَعَلْتَهُ عَلٰى عِبَادِكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا، فَاَخْرِجْنِيْ مِنْ قَبْرِيْ مُؤْتَزِرًا كَفَنِيْ شَاهِرًا سَيْفِيْ مُجَرِّدًا قَنَاتِيْ مُلَبِّيًا دَعْوَةَ الدَّاعِيْ فِي الْحَاضِرِ وَ الْبَادِيۤ اَللّٰهُمَّ اَرِنِي الطَّلْعَةَ الرَّشِيْدَةَ وَ الْغُرَّةَ الْحَمِيْدَةَ وَ اكْحُلْ نَاظِرِيْ بِنَظْرَةٍ مِنِّيۤ اِلَيْهِ وَ عَجِّلْ فَرَجَهُ وَ سَهِّلْ مَخْرَجَهُ وَ اَوْسِعْ مَنْهَجَهُ وَ اسْلُكْ بِيْ مَحَجَّتَهُ وَ اَنْفِذْ اَمْرَهُ وَ اشْدُدْ اَزْرَهُ وَ اعْمُرِ اللّٰهُمَّ بِهِ بِلَادَكَ وَ اَحْيِ بِهِ عِبَادَكَ فَاِنَّكَ قُلْتَ وَ قَوْلُكَ الْحَقُّ ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَ الْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ اَيْدِيْ النَّاسِ فَاَظْهِرِ اللّٰهُمَّ لَنَا وَلِيَّكَ وَ ابْنَ بِنْتِ نَبِيِّكَ الْمُسَمّٰى بِاسْمِ رَسُوْلِكَ، حَتّٰى لَا يَظْفَرَ بِشَيْ‏ءٍ مِنَ الْبَاطِلِ اِلَّا مَزَّقَهُ وَ يُحِقَّ الْحَقَّ وَ يُحَقِّقَهُ وَ اجْعَلْهُ اللّٰهُمَّ مَفْزَعًا لِمَظْلُوْمِ عِبَادِكَ وَ نَاصِرًا لِمَنْ لَا يَجِدُ لَهُ نَاصِرًا غَيْرَكَ وَ مُجَدِّدًا لِمَا عُطِّلَ مِنْ اَحْكَامِ كِتَابِكَ وَ مُشَيِّدًا لِمَا وَرَدَ مِنْ اَعْلَامِ دِيْنِكَ وَ سُنَنِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَ اٰلِهِ وَ اجْعَلْهُ اَللّٰهُمَّ مِمَّنْ حَصَّنْتَهُ مِنْ بَأْسِ الْمُعْتَدِيْنَ اَللّٰهُمَّ وَ سُرَّ نَبِيَّكَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَ اٰلِهِ بِرُؤْيَتِهِ وَ مَنْ تَبِعَهُ عَلٰى دَعْوَتِهِ وَ ارْحَمِ اسْتِكَانَتَنَا بَعْدَهُ اَللّٰهُمَّ اكْشِفْ هٰذِهِ الْغُمَّةَ عَنْ هٰذِهِ الْاُمَّةِ بِحُضُوْرِهِ وَ عَجِّلْ لَنَا ظُهُوْرَهُ اِنَّهُمْ يَرَوْنَهُ بَعِيْدًا وَ نَرَاهُ قَرِيْبًا بِرَحْمَتِكَ يَاۤ اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ۔

তারপরে আপনি আপনার ডান হাত দিয়ে আপনার ডান উরুতে তিনবার থাপ্পড় দিন এবং প্রতিবারে নিম্নলিখিত শব্দগুলি বলুন:

اَلْعَجَلَ اَلْعَجَلَ يَا مَوْلَايَ يَا صَاحِبَ الزَّمَانِ

ইমাম মাহদী (আঃ) এর সাথে সংশিষ্ট দোয়াগুলোর মধ্যে দোয়া আহাদ অন্যতম। ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি একাধারে চল্লিশ দিন সকালে এ দোয়াটি পড়বে সে আল-কায়েম (আ.ফা.)- এর সাহায্যকারীদের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি সে তার (আবির্ভাবের) আগেই মৃত্যুবরণ করে তাহলে মহান আল্লাহ তাকে কবর থেকে উঠাবেন এবং এই দোয়ায় উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের জন্য এক হাজার সৎ আমল লেখা হবে ও এক হাজার খারাপ আমল মুছে ফেলা হবে। (দ্রঃ মরহুম শেখ আব্বাস কুমী (রহঃ) এর মাফাতিহুল জিনান, ৮৯২ পৃষ্ঠা, মিসবাহ আল-জায়ির, পৃঃ ২৩৫; বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড-১০২

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আললাহুম্মা রাব্বান নুরিল আযিম ওয়া রাব্বাল কুরসীয়ীর রাফিয়ি ওয়া রাব্বাল বাহরিল মাসজুরি ওয়া মুনযিলাত তাওরাতি ওয়াল ইনজিল ওয়ায যাবুরি ওয়া রাব্বায যিললি ওয়াল হারুরি ওয়া মুনযিলাত কুরআনিল আযিমি ওয়া রাব্বাল মালাইকাতিল মুক্বাররাবিনা ওয়াল আম্বিয়ায়ি ওয়াল মুরসালিনা আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বি ওয়াজহিকাল কারীমি ওয়া বি নুরি ওয়াজহিকাল মুনিরি ওয়া মুনকিকাল কাদিমি ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম আসআলুকা বিসমিকাল লাযি আশরাক্বাত বিহিস সামাওয়াতু ওয়াল আরযুনা ওয়া বিসমিকাল লাযি ইয়াস লাহু বিহিল আউয়ালুনা ওয়াল আখিরুনা। ইয়া হাইয়ু ক্বাবলা কুললি হাইয়িন ওয়া ইয়া হাইয়ু বায়্দা কুললি হাইয়িন ইয়া হাইয়ু হিনা লা হাইয়া ওয়া ইয়া মুহয়ি ইয়াল মাউতা ওয়া মুমিতাল আহইয়ায়ি ইয়া হাইয়ু লা ইলাহা ইল্লা আন্তা আল্লাহুম্মা বাললিগ মাওলানাল ইমামিল হাদী ইয়াল মাহ্দী আল ক্বায়িমা বি আমরিকা সালাওয়াতুল্লাহি আলাইহি ওয়া আলা আবায়িহিত তাহিরীন। আন জামিয়িল মু মিনীনা ওয়াল মু মিনাতি ফি মাসারিকেল আরজে ওয় মাগারি বিহা সাহলিহা ওয়া জাবালিহা ওয়া বাররিহা ওয়া বাহরিহা ওয়া আননি ওয়া আন ওয়ালি দাইয়া ওয়া এখওয়ানি ওয়া এখওয়াতি মিনাস সা লাওয়াতি যিনাতা আরশিললাহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি ওয়ামা আহসাহু ইলমুহু ওয়া আহাতা বিহি কিতাবুহু আল্লাহুম্মা ইন্নি ওজাদ্দিদু লাহু ফি সাবিহাতি ইয়াওমি হাযা ওয়া মা শিয় তু মিন আইয়ামি আহদান ওয়া আকদান ওয়া বাইয়াতান লাহু ফি ঔনোক্বি লাআহুলো আনহা ওয়ালা আযুলু আবাদান আল্লাহুম্মাজ আলনি মিন আনসারাহি ওয়া আয়ওয়ানিহি ওয়ায যাব্বিনা আনহু ওয়াল মুসারিয়িনা ইলাইহি ফি কাজায়ি হাওয়াএজিহি ওয়াল মুতামাসসিলিনা লি আওয়ামিরিহি ওয়াল মুহামিনা আনহু ওয়াস সাবেক্বিনা ইলা ইরাদাতিহি ওয়াল মুসতাশহাদিনা বাইনা ইয়াদাইহি আল্লাহুম্মা ইন হালা বাইনি ওয়া বাইনাহুল মোওতুললাযি জায়ালতাহু আলা ইবাদিকা হাতমান মাক্বযিয়ান ফা আখরিজনী মিন ক্বাবরি মুতাযিরান কাফানী শাহিরান সাঙ্গফী মুজাররিদান ক্বাল্লা তী মুলাববিয়ান দাওয়াতদ্দায়ী ফিল হাযিরী ওয়াল বাদী। আল্লাহুম্মা আরিনিত তালয়াতার রাশীদাতা ওয়াল গুররাতাল হামিদাতা ওয়াকহাল নাযিরী বি নাযরাতিন মিননি ইলাইহি ওয়া আজজিল ফারাজাহু ওয়া সাহহিল মাখরাজাহু ওয়া আওসিয়ামান হাজাহু ওয়াসলুকবী মাহাজ্জাতাহু ওয়ানফিয আমরাহু ওয়াশদুদ আযরাহু ওয়ামিরু আল্লাহুম্মা বিহি বিলাদাকা ওয়া ওয়াআহয়ি বিহি ইবাদাকা ফা ইন্নাকা কুলতা ওয়া ক্বাওলুকাল হা্ক্কু যাহারাল ফাসাদু ফিল বাররী ওয়া বাহরী বিমা কাসাবাত আইদিন নাসি ফা আযহির আল্লাহুম্মা লানা ওয়ালিয়িকা ওয়াবনা বিনতি নাবিয়িকাল মুসাম্মা বিসমি রাসুলিকা হাততা লা ইয়াযফারা বি শাইয়িন মিনাল বাতিলি ইল্লা মাযযাক্বাহু ওয়া ইয়ুহাক্বক্কাল হাক্বকা ওয়া ইয়ু হাক্বক্কিক্বাহু ওয়াজয়ালহু আল্লাহুম্মা মাফযায়ান লিমাযলুমি ইবাদিকা ওয়া নাসিরান লিমান লা ইয়াজিদ লাহু নাসিরান গায়রাকা ওয়া মুজাদ্দিদান লিমা উও্বেলা মিন আহকামি কিতাবিকা ওয়া মুসাইয়িদান লিমা ওরাদা মিন আয়লামি দ্বিনিকা ওয়া সুনানি নাবিয়িকা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াজ আলহু আল্লহুম্মা মিমমান হাসানতাহু মিম বায়সিল মুয়তাদিন আল্লাহুম্মা ওয়া সুররা নাবিয়িকা মোহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি বিরুইয়াতিহি ওয়ামান তাবিয়াহু আলা দাওয়াতিহি ওয়ার হাম ইসতাকানাতানা বাদাহু আল্লাহুম্মাকশিফ হাযিহিল গোম্মাতা আন হাযিহিল উম্মাতি বি হুযুরিহি ওয়া আযযিল লানা যুহুরাহু ইন্নাহুম ইয়া রাওনাহু বায়িদান ওয়া নারাহু ক্বারিবান বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন ।

তারপরে আপনি আপনার ডান হাত দিয়ে আপনার ডান উরুতে তিনবার থাপ্পড় দিন এবং প্রতিবারে নিম্নলিখিত শব্দগুলি বলুন:

আল আযাল আল আযাল ইয়া মাউলাইয়া ইয়া সাহেবায যামান ।

ইমাম মাহদী (আঃ) এর সাথে সংশিষ্ট দোয়াগুলোর মধ্যে দোয়া আহাদ অন্যতম। ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি একাধারে চল্লিশ দিন সকালে এ দোয়াটি পড়বে সে আল-কায়েম (আ.ফা.)- এর সাহায্যকারীদের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি সে তার (আবির্ভাবের) আগেই মৃত্যুবরণ করে তাহলে মহান আল্লাহ তাকে কবর থেকে উঠাবেন এবং এই দোয়ায় উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের জন্য এক হাজার সৎ আমল লেখা হবে ও এক হাজার খারাপ আমল মুছে ফেলা হবে। (দ্রঃ মরহুম শেখ আব্বাস কুমী (রহঃ) এর মাফাতিহুল জিনান, ৮৯২ পৃষ্ঠা, মিসবাহ আল-জায়ির, পৃঃ ২৩৫; বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড-১০২

পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

হে আল্লাহ, মহান জ্যোতির প্রতিপালক, সু-উচ্চ আসনের প্রতিপালক, উত্তাল সমুদ্রের প্রতিপালক, তাওরাত, ইঞ্জিল ও যবুর অবতীর্ণকারী, এবং ছায়া ও উত্তপ্ত দ্বিপ্রহরের প্রতিপালক এবং মহিমান্বিত কুরআন অবতীর্ণকারী, হে নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাদের প্রতিপালক এবং নবী ও রাসূলদের প্রতিপালক, হে আল্লাহ, আমি আপনার দয়ালু চেহারার ওসীলায় প্রার্থনা করছি, এবং আপনার আলোকজ্জ্বল চেহারার জ্যোতির মাধ্যমে এবং চিরস্থায়ী রাজত্বের ওসীলায়, হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী, আমি প্রার্থনা করছি আপনার সেই নামের মাধ্যমে যা দ্বারা আসমানসমূহ ও জমিনসমূহ আলোকিত হয়েছে, এবং আপনার সেই নামের মাধ্যমে যা দ্বারা অগ্রবর্তী ও পরবর্তী সকলে পরিশুদ্ধ হয়, হে চিরঞ্জীব, যিনি সকল জীবনের আগেও জীবিত এবং হে চিরঞ্জীব যিনি সকল জীবনের পরেও জীবিত আর হে চিরঞ্জীব, যখন কোনো জীবতই থাকবে না হে মৃতকে জীবিতকারী, হে জীবিতকে মৃত্যু দানকারী, হে চিরঞ্জীব, আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। হে আল্লাহ, সালাম পৌঁছে দিন আমাদের মাওলার কাছে যিনি হেদায়াতকারী ইমাম মাহদী ও আপনার আদেশে বিদ্রোহকারী, আর তাঁর পবিত্র পূর্বপুরুষদের ওপর সব মুমিন পুরুষ ও নারীদের পক্ষ থেকে যারা জমিনের পূর্বে ও পশ্চিমে,উপত্যকায় ও পাহাড়ে জীবন যাপন করছে, স্থলে ও সমুদ্রে বসবাসরত,আর আমার ও আমার পিতা-মাতার পক্ষ থেকে সেই পরিমাণ সালাম যা আল্লাহর আরশের সম ওজনের এবং তাঁর পবিত্র কালামের সম সংখ্যায় এবং যা তাঁর জ্ঞান পরিগণনা করেছে আর তাঁর কিতাবের আওতাধীন হয়েছে।

হে আল্লাহ, আমি পুনঃঅঙ্গিকার করছি এই প্রভাতে এবং সামনে যতদিন বেঁচে থাকি,আমার সার্বক্ষণিক অঙ্গিকার এবং তাঁর আনুগত্যকে স্বীয় স্কন্ধে তুলে নিচ্ছি ; কখনও আমি এ থেকে প্রত্যাবর্তন করবো না এবং এ বাইয়্যাতকে ভাঙ্গবো না। হে আল্লাহ, আমাকে তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করুন যারা তাঁর সাহায্যকারী ও সহযোগী হবে এবং তাঁর প্রতিরক্ষার কাজ করবে, এবং তাঁর দরকারসমূহ পূরণে দ্রুত ধাবমান হবে, আর তাঁর আদেশ পালন করবে এবং তাঁর সমর্থন করবে এবং তাঁর ইচ্ছা পালনে অগ্রগামী হবে ও তাঁরই নেতৃত্বে শাহাদাতের পেয়ালা পান করবে, হে আল্লাহ, যদি তাঁর ও আমার মাঝে মৃত্যু এসে অন্তরায় হয় যাকে আপনি আপনার বান্দাদের জন্য অবধারিত করেছেন, তাহলে আমাকে কবর থেকে উঠাবেন আমার কোমরে কাফন বাঁধা অবস্থায়, খোলা তরবারি আর উত্তোলিত বর্শা হাতে, আর শহরবাসী ও মরুবাসীদের মাঝে আহ্বানকারীর আহবানে সাড়া দেওয়া অবস্থায়।

হে আল্লাহ, আমাকে সেই সুদর্শন চেহারাকে এবং প্রশংসিত ললাটকে দেখান। আর তাঁর প্রতি এক দৃষ্টির মাধ্যমে আমার চোখে তাঁর সাক্ষাতের কাজল এঁকে দিন। তাঁর মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন, তাঁর আবির্ভাবকে সহজ করুন এবং তাঁর পথকে প্রশস্ত করুন, এবং আমাকে তাঁর পথে পরিচালিত করুন, তাঁর কর্তৃত্বকে বাস্তবায়িত করুন, তাঁর পিঠকে শক্তিশালী করুন। আপনার শহরগুলোকে তাঁর দ্বারা সু-সমৃদ্ধ করুন এবং তাঁর দ্বারা আপনার বান্দাদেরকে জীবিত করুন। নিশ্চয়ই আপনি বলেছেন আর আপনার কথা তো সত্য যে, “জমিনে ও সাগরে যে বিপর্যয় ঘটে থাকে তা সবই মানুষের হাতের কামাই” (সূরা রূমঃ ৪১), কাজেই হে আল্লাহ, আপনার ওয়ালীকে আমাদেও জন্য আবির্ভূত করুন যিনি আপনার নবীর কন্যার (সাঃ) সন্তান ও আপনার রাসুলের নামে একনাম কোন ভাবেই বিজয়ী না হয় যতক্ষণ না তা টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং সত্য প্রতিষ্ঠিত ও দৃঢ় হয়।

হে আল্লাহ, তাঁকে আপনার নির্যাতিত বান্দাদের প্রকৃত আশ্রয়স্থল করুন এবং সাহায্যকারী করুন তাদের জন্য যারা আপনাকে ব্যতীত কোনো সাহায্যকারী পায় না এবং তাঁকে আপনার কিতাবের যেসব বিধি-বিধান স্থগিত করা হয়েছে সেগুলোর পুনরুজ্জীবিতকারী করুন, এবং আপনার দীনের আদর্শে ও আপনার নবী (সাঃ) এর সুন্নাতে যা কিছু প্রবর্তিত হয়েছে সেগুলোকে মজবুত কারী করুন হে আল্লাহ, তাঁকে তাঁদের অন্তর্ভূক্ত করুন যাদেরকে আপনি শত্রুদের অনিষ্টতা থেকে নিরাপদ রেখেছেন। হে আল্লাহ, আপনার নবীকে (সালাম বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর বংশধরদের ওপর) আনন্দিত করুন তাঁর দর্শনের মাধ্যমে এবং তাঁদেরকেও আনন্দিত করুন যারা তাঁর আহ্বানে তাঁকে অনুসরণ করে, আর তাঁর আবির্ভাবের পরে আমাদের দুরবস্থার প্রতি করুণা করুন। হে আল্লাহ, তাঁর উপস্থিতির মাধ্যমে এই উম্মতের থেকে সব দুঃখ-দুর্দশা দূর করুন, এবং তাঁর আবির্ভাবকে ত্বরান্বিত করুন, “নিশ্চয়ই তারা একে দূর মনে করে কিন্তু আমরা তা খুবই কাছের মনে করি”(সূরা মা’আরিজঃ৬-৭), আপনারই দয়ায় হে পরম দয়ালু ও করুণাময়।

তারপরে আপনি আপনার ডান হাত দিয়ে আপনার ডান উরুতে তিনবার থাপ্পড় দিন এবং প্রতিবারে নিম্নলিখিত শব্দগুলি বলুন:

দ্রুত আসুন, দ্রুত আসুন, হে আমার মাওলা, হে জামানার ইমাম।